বিটকয়েন কি ? (what is bitcoin):
বিটকয়েন হলো এক ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা। যেমন রুপি টাকা ডলার এক ধরনের মুদ্রা ঠিক তেমনি বিটকয়েন হলো ডিজিটাল মুদ্রা বা এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি । আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে Cryptocurrency কি ? ক্রিপ্টোকারেন্সি বলতে ডিজিটাল মুদ্রা কে বোঝায় । প্রত্যেকটি দেশের মুদ্রার সঙ্গে বিটকয়েনের পার্থক্য হল প্রত্যেকটি দেশের মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কিন্তু বিটকয়েন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের প্রয়োজন হয় না। এটি সম্পন্ন অনলাইনে একজন এবং আরেকজন ব্যক্তির মধ্যে লেনদেন হয়। সুতরাং বিটকয়েন কে আমরা চোখেও দেখি না এবং ছুঁতেও পারি না।
আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে বিটকয়েন কোন দেশের মুদ্রা । এটির উত্তর হচ্ছে বিটকয়েন কোন দেশের মুদ্রা নয় বিটকয়েন কে কোন দেশ বা কোন সরকার নিয়ন্ত্রণ করেন না যে কেউ বিটকয়েন ব্যবহার করতে পারবে। তবে অনেক দেশ আছে যেখানে বিটকয়েন বৈধ নয়।
কে বিটকয়েন আবিষ্কার করেছেন ?
সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamota) ছদ্মনামে কোন ব্যক্তি সর্বপ্রথম বিটকয়েন এর প্রচলন করেছিলেন 2009 সালে যা পিয়ার-টু-পিয়ার মুদ্রা নামে পরিচিত। সাতোশি নাকামোতো ও হাল ফিনি মধ্যে সর্বপ্রথম বিটকয়েনের আদান-প্রদান ঘটেছিল ।
বিটকয়েনের ইতিহাস
2008 সালে bitcoin.org রোমান্টিক রেজিস্টার হয়। ঠিক সেই বছরই নভেম্বর মাসে সাতোশি নাকামোতো Bitcoin ki | কিভাবে বিটকয়েন ব্যবহার করে অর্থাৎ Bitcoin সম্পর্কে কিছু তথ্য একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন। যখন বিটকয়েন প্রচলন হয় তখন তার দাম খুবই কম ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকে। বিশেষ করে 2013 সালের পর থেকে bitcoin কয়েনের দাম দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে।
বিটকয়েনের দাম কত ?
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে :
বিটকয়েন কাজ কিভাবে করে চলুন আপনাদেরকে এবার সহজ করে বুঝিয়ে দিই । আমি আগেই বলেছি bitcoin এক ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা একে চোখে দেখতে পারবেন না এবং touch ও করতে পারবেন না। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের যেমন নেট ব্যাঙ্কিং বা wallet apps রয়েছে ঠিক তেমন বিটকয়েন এরও ওয়ালেট রয়েছে। সেখানে আপনি দেখতে পারবেন আপনার কত বিটকয়েন রয়েছে। এবং আপনি সেই বিটকয়েনের ওয়ালেট অ্যাপস এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন করতে পারবেন।
বিটকয়েন একাউন্ট কিভাবে খুলব (How to create bitcoin account in bengali) :
চলুন তাহলে এবার বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম টি জেনে নিই। বিটকয়েন যেহেতু এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা। এটি শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে লেনদেন হয়। তো বিটকয়েন একাউন্ট খোলার জন্য আপনাদেরকে একটি bitcoin wallet প্রয়োজন হবে। বর্তমানে বিটকয়েন একাউন্ট খোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাপস বা বিটকয়েন ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনাকে সেখানে গিয়ে রেজিস্টার করতে হবে সঠিক ডকুমেন্টস দিয়ে। বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাপসগুলি লিস্ট নিচে দেওয়া হল । সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনারা বিটকয়েন কেনাবেচা করতে পারবেন।
Binance : এইখানে অ্যাকাউন্ট খুললে আপনারা cryptocurrency exchange করতে পারবেন। এটি জনপ্রিয় একটি বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাপ। এর যাত্রা শুরু হয় 2017 সালে।
unocoin : বর্তমানে বিটকয়েন কেনাবেচার অন্যতম মাধ্যম হলো এই unicoin অ্যাপস।
Coinbase : বর্তমানে বিটকয়েন কেনাবেচার জনপ্রিয় মাধ্যম হল এই Coinbase অ্যাপস বা ওয়েবসাইট। এর যাত্রা শুরু হয় 2012 সালে ইংল্যান্ডে।
এছাড়া বিটকয়েন কেনাবেচার অনেকগুলো ওয়ালেট রয়েছে যেমন BitPay, Bitgo, Blockchain, Bitfinex ইত্যাদি।
বিটকয়েন ওয়ালেট কি ?
বিটকয়েন গুলো যেখানে জমা করা হয় বা জমা থাকে। সেটাই হচ্ছে বিটকয়েন ওয়ালেট। বিভিন্ন কোম্পানির বিটকয়েন ওয়ালেট হয় সেগুলো আমরা উপরে আলোচনা করলাম।
বিটকয়েন এর সুবিধা :
Bitcoin ব্যবহারের কিছু সুবিধা রয়েছে যেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো
১. যার সঙ্গে বিটকয়েন কেনাবেচা করছেন শেয়ার আপনি ছাড়া এই বিষয়ে কোন কিছু কেউ জানতে পারবে না।
২. বিটকয়েন লেনদেনের কোনো ট্রানজাকশন হিস্টরি কেউ ট্র্যাক করতে পারবে না।
৩. Bitcoin আদান-প্রদান করার জন্য কোন রকমের ট্যাক্স লাগে না ।
বিটকয়েনের অসুবিধা :
বিটকয়েনের কিন্তু অনেক অসুবিধা রয়েছে সেগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
১. বিটকয়েনের ব্যবহার কিন্তু পৃথিবীর সব দেশে বৈধ নয়।
২. বিটকয়েন ব্যবহারের সবথেকে বড় অসুবিধা হচ্ছে বিটকয়েনের দাম সব সময় সমান থাকে না সব সময় ওঠানামা করে।
৩. যখন আপনি বিটকয়েনের মাধ্যমে কোন কিছু পণ্য কিনবেন। যে পণ্যটা আপনি অর্ডার করেছিলেন সেটি না পেলে বা এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যা হলে আপনার করার থাকে না
৪. যেহেতু কোন প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক বিটকয়েন পরিচালিত হয় না সেই জন্য এটি ব্যবহারে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে।
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে ?
Bitcoin যেহেতু এক ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা। এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তির মধ্যে লেনদেন হয়। বিটকয়েন কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। বিটকয়েনের সমস্ত কাজকর্ম হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে।
বিটকয়েন আয় এর উপায় :
চলুন এবার জেনে নেই কিভাবে বিটকয়েন থেকে আয় করবেন বা বিটকয়েন থেকে ইনকাম যেহেতু বিটকয়েনের দাম দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে । সে ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে এখন বিটকয়েন কিনে রাখতে পারেন এবং পরবর্তীকালে যখন বিটকয়েনের দাম বেড়ে যাবে তখন আপনারা এটি বিক্রি করে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন । যদিও এটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কারণ বিটকয়েনের দাম সব সময় সমান থাকে না সব সময় ওঠানামা করে।
বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ :
আপনারা অনেকেই এই প্রশ্নটিই করেন বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ২০২১ সালে এর এক কথায় উত্তর হলো না। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার বিটকয়েন কি অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহারে কোন অনুমতি নেই।

